প্রভাতী গান

প্রভাতী গান

“শুক বলে ওঠ শারি ঘুমায়ো না আর
এ জীবন গেলে ফিরে আসে না আবার “
বাতাসে এখন হালকা শীতের আমেজ, প্রচন্ড গরমের তাপপ্রবাহ আর নেই। হালকা চাদরে মুড়ি দিতেই কানে এলো প্রভাতী সংগীতের সুর। কার না ভালো লাগে! ভোরের প্রথম সূর্যকিরণের সাথে সাথে প্রকৃতিও তার সমস্ত জড়তা কাটিয়ে জেগে ওঠে। আর এই দিনের শুরু যদি হয় গান দিয়ে তাহলে দিনটাও মনোরম হয়। কর্মব্যস্তময় জীবনের শুরুর আগে মনকে স্থির ও শান্ত রাখার ক্ষেত্রে প্রভাতী গানগুলির সার্থকতা রয়েছে। আমাদের বঙ্গ সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই প্রভাতী সঙ্গীত। অতীতে রাধা গোবিন্দ মন্দিরে গিয়ে এই গান গেয়ে দেবতার প্রভাতী নিদ্রাভঙ্গ করে নগর ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়তেন ভক্তেরা। যুগ পরিবর্তন হলেও এখনো একেবারে উবে যায়নি এই ধারা। তবে সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতী গানের রীতি ও ধারাতেও এসেছে বদল। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তাতে। শুধুমাত্র নগরকীর্তন বিষয়ক গান নয়, প্রভাতী গানের ধারাতে যুক্ত হয়েছে আরো একাধিক ঘরানার গান যেমন পল্লীগীতি, রাগ প্রধান ইত্যাদি। প্রভাত হলো সমস্ত জীর্ণতা, দীর্ণতা দূরে সরিয়ে নতুন সূচনার প্রতীক। আর তার সাথে সংগীতের মেলবন্ধন মনুষ্যহৃদয় স্পর্শ করে তার মধ্যে শান্তির উন্মেষ ঘটায় যা তার দৈনন্দিন জীবনের পথ চলতে ঔষধির মতো কাজ করে।