‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’ – নারীর ক্ষেত্রে একথা সর্বাংশে সত্য। আজ পারিবারিক দায়িত্ব সামলে বহুবিধ প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে নারী তার স্বপ্নের উড়ানকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবুও একথা স্বীকার করতেই হবে যে সমাজের নানান ক্ষেত্রে বিভিন্ন বৈষম্যের দরুন কর্মক্ষেত্রে নারীদের ওপর অবিচার আজও ঘটে চলেছে। প্রান্তিক শ্রেণীর নারীর ক্ষেত্রে এই অসাম্য আরো বেশি করে পরিলক্ষিত হয়। তারা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পোশাক শিল্প, কৃষিকাজ, ইটভাটা, গৃহস্থালি নির্মাণ, চা-বাগানের কাজ ও বিভিন্ন কলকারখানার কাজসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাজেই নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পান না। পরিবারের সচলতা আনতে কোলের শিশুকে নিয়েও তারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করে চলেন। এমনকি শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করেও তাদের কাজ অব্যাহত রাখতে হয় বেতন কেটে যাবার ভয়ে, বা চাকরি হারানোর আতঙ্কে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে অনেক সময়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হয়।
আমাদের আর্থ-সামাজিক শৃঙ্খলার একটি স্তম্ভ এই খেটে খাওয়া প্রান্তিক শ্রেণীর নারীরা, এদের দুর্বলতা সমাজের প্রগতির অন্তরায়। তাই পরিস্থিতিকে পাল্টাতে হলে দরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, কিন্তু তার আগে চাই মানসিক অবস্থার রূপান্তরকরণ।