বাংলা সাহিত্যে লেখক পলাশ পোদ্দারের প্রথম আত্মপ্রকাশ “ভারত দিশা” কাব্যগ্রন্থে । পরবর্তীতে তাঁর কলম থেকে বেরিয়ে এলো “ভালো নেই মঙ্গলগঞ্জ”, “অতসী (এক পতিতা মেয়ের গল্প)”- এর মত কালজয়ী উপন্যাস । তার দুটি উপন্যাসেরই ঘটনাপ্রবাহ এত সাবলীল এবং মর্মস্পর্শী, লেখার বুনোন এত নিখুঁত, অটুট পাঠক কেবল বিমুগ্ধই হননি, তাঁদের কেবল মনে হয়েছে যেন ছবি পড়ছেন ।
READ MOREলীলার মাথায়ও আগুন জ্বলে ওঠে । সে বাবলুর গলা দু'হাতে জোরে চেপে ধরে । মদ্যপ বাবলুর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে । শরীর যেন তার অবশ হয়ে আসছে । লীলার চুলের মুঠি ধরে থাকা হাতটি তার শিথিল হয়ে এল । লীলা তাকে ছেড়ে দিতেই সে মাটিতে বসে হাঁপাতে থাকে । বস্তির প্রায় সবাইই ছুটে এসেছিল .....
মুখটা সাদামাঠা, বড্ড গ্রাম্য মেয়েটি দৌড়াচ্ছে প্রাণপণ। তার পিছু নিয়েছে কয়েকজন। হাঁপাচ্ছে মেয়েটি, আর পেরে উঠছে না যেন। ঘেমে নেয়ে গেছে। দু'হাটুতে ভর দিয়ে কয়েক সেকেন্ড জিরিয়ে ফের সে দৌড়াতে লাগল। ক্ষুধার্ত হায়ানার মত লোলুপ পুরুষগুলো তার পিছু ছাড়ে না। একসময়, মেয়েটির পা দুটি এমনই ভারী হয়ে আসে...
রাত বারোটা । লেনিন সরণির সেই জীর্ণ ভগ্নপ্রায় বাড়ির বারান্দায় নিধি পড়ে আছে । তাকে ঘিরে বসে আছে পিতৃমাতৃপরিচয়হীন সাত শিশু । ঘুম নেই চোখে । একটা ভয়, দারুণ দুশ্চিন্তায় কুঁকড়ে আছে যেন তারা । ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা কি জিনিস হয়তো তারা জানে না, জানার কথাও নয় । কিন্তু না জানি কিসের টানে, কিসের ....